It was a strange place to Sylhet lalakhala ..........
সিলেটের লালাখাল..........অচেনা কিন্তু অসাধারন একটা জায়গা
স্বচ্চ নীল জল রাশি আর দুধারের অপরুপ সোন্দর্য, দীর্ঘ নৌ পথ ভ্রমনের সাধ যেকোন পর্যটকের কাছে এক দূর্লভ আর্কষণ। তেমনি এক নির্জন মনকাড়া স্থান লালাখাল। বাংলাদেশের সবোর্চ্চ বৃষ্ঠিপাতের স্থান এবং রাতের সৌন্দর্যে ভরপুর এই লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। সারি নদীর স্বচ্চ জলরাশির উপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পীডবোটে করে আপনি যেতে পারেন লালা খালে। যাবার পথে আপনির দুচোখ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন কিন্ত সৌন্দর্য শেষ হবে না। ৪৫ মিনিট যাত্রা শেষে আপনি পৌছে যাবেন লালখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরী ঘাটে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন নদীর পানির দিকে। কি সুন্দর নীল, একদম নীচে দেখা যায়। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত।
সারীঘাট টু লালাখাল - সেটালাইট ভিউ
কিভাবে যাবেন:
সিলেট শহর হতে লালাখাল যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা।
আপনি অনেক ভাবে লালাখাল যেতে পারেন।
বাস, মাইক্রো, টেম্পু যোগে আপনি যেতে পারেন।
থাকবেন কোথায়ঃ
লালাখালে থাকার তেমন কোন সুবিধা নাই। সাধারনত পর্যটকরা সিলেট শহর হতে এসে আবার সিলেট শহরে হোটেলে রাত কাটায়। সাম্প্রতিক নাজিমগড় রিসোর্ট নামে
একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পিকনিক স্পট গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে।সিলেটে আসলেই সবাই কেবল জাফলং আর মাধবকুন্ড নিয়েই পড়ে থাকে। কিন্তু সিলেটে যে আরো দুর্দান্ত কিছু স্পট আছে তা না দেখলে বুঝা যায়না। তেমনি একটি জায়গা লালাখাল …………
যেতে হয় জাফলং রোডেই...........কিন্তু জাফলং যাওয়ার আধা ঘন্টা আগেই ব্রেক দিতে হয়............ঐ স্হানের নাম সারিঘাট। তারপর ইন্জিন নৌকা ভাড়া করতে হয়। লালাখাল থেকে ঘুরে আসতে আপনাকে বেশী হলে ২০০ টাকায় রফা করতে হতে পারে। আমরা ২০০৮ সালে গিয়েছিলাম ১৮০ টাকায়।এখন আরো বাড়ার কথা। সারি নদীর উপর দিয়ে চলতে শুরু করার পর..........প্রতিটি বাঁকে বাঁকে আপনি অসাধারন কিছু দৃশ্য দেখবেন................ পৌছতে ঘন্টা খানেক লাগবে .........আসতেও তাই। হিসাব করে যেতে হয় যাতে রাত না হয়ে যায়..............তবে রাতে নৌকা ভ্রমন টাও আরেক মজা। আপনাকে দম বন্ব করেই থাকতে হবে,,,,,,,,,,,,,গ্যরান্টি...........
সিলেটে আছি ছয় বছর পার হয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে কম ঘুরাঘুরি হয়নি। সম্ভব অসম্ভব অনেক যায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। একটা সময়ে মনে হয়েছিল আর বুঝি কিছু বাকি নেই। সব দেখা শেষ। বোকার মত ভেবেছিলাম আসলে। সিলেট অনেক বৈচিত্রময় জায়গা। আর এর বৈচিত্র গুলো সারা সিলেট জুড়ে এমন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যে দেখতে অনেক সময় লেগে যাবে। এমনকি এমন কিছু যায়গাও হয়তো আছে যার নামই শুনিনি এখনও। শুনতে অবাক লাগলেও ব্যপারটা আসলেই সত্যি। এই যেমন লালাখাল। এর নাম প্রথম শুনেছিলাম মাত্র বছর দেড়েক আগে। প্রথম খুব একটা পাত্তা দেইনি। একটা খাল আবার দেখার কি হলো !! কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই জায়গাটাতে গিয়েছেন তারা এমন প্রশংসা করতে শুরু করলো যে আমারও কৌতুহল তৈরি হতে দেরি হলো না। সুযোগের অপেক্ষায় রইলাম। শেষ পর্যন্ত সুযোগটা আসলো গত বছরের মে মাসে। কলিগরা সবাই পরিকল্পনা করছিল সামনের উইক এন্ডে লালাখাল যাবে। আমিও সঙ্গী হয়ে গেলাম ।
লালাখাল যাওয়ার রাস্তাটা পরিষ্কার জানা ছিলনা। তাই প্রথমবার জায়গাটা চেনার পর একটু বোকা বনে গিয়েছিলাম। লালাখাল যেতে হলে জাফলং যাওয়ার পথে সারীঘাট নামে একটা জায়গা আছে সেখানে নামতে হয়। আমি সারীঘাট হয়ে অসংখ্য বার জাফলং গিয়েছি। অথচ কখনও এখানে নামা হয়নি! এটা ভেবেই একটু বোকাবোকা লাগছিল যাই হোক, লালাখাল সারীঘাট থেকে আরো অনেকটা ভিতরে। অনেকগুলো ইন্জিন চালিত নৌকা বাধা আছে দেখলাম ঘাটে । বুঝলাম এভাবেই যেতে হবে। একজন গেলাম মাঝিদের সাথে কথা বলার জন্য। আসা আর যাওয়া মিলে ১৪০০ টাকা দাম হাঁকালো বেটারা! বুঝলাম ঠকানোর মতলব । শেষপর্যন্ত অবশ্য ১০০০ টাকায় রফা হলো। সবাই বেশ হইচই করে নৌকায় উঠে পড়লো। শুরু হলো লালাখাল এর উদ্দেশ্যে যাত্রা ।
নৌকা চলতে শুরু করার পর প্রথম যে জিনিসটা দৃষ্টি আকর্ষণ করলো সেটা হলো সারী নদীর পানি। খুব সুন্দর মিষ্টি একটা সবুজ বর্ণ। খুব অবাক লাগলো। বাংলাদেশে কোন নদীতে এই বর্ণের পানি দেখিনি। এটা নিশ্চিত ছিলাম রঙটা আকাশের রিফ্লেকশন থেকে আসেনি। তাহলে নীল হতো। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেও কোন সদুত্তর পেলাম না। এখনও জানিনা কারনটা ।
আমরা এগিয়ে চললাম। মে মাস। বেশ গরম পড়ছে। তার উপর নৌকার ভিতরে বেশ হাসফাস লাগছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ছাদে উঠে বোসলাম। ফুরফুরে বাতাসে একটু স্বস্তি লাগলো। আর এখান থেকে ছবি তুলতেও সুবিধা ।
এই সময়টাতে সারী নদীতে মোটামুটি পানি আছে। হিমালয় হতে বয়ে আসা পানি। সচ্ছ টলটলে আর একটু ঠান্ডা। হাত দিলে শান্তির একটা পরশ অনুভব হয়। বেশ ভাল লাগে। নদীর দুই পাশে উচু উচু টিলা আর সাজানো সুন্দর চা বাগান। স্থানিয়রা নদীতে গোসল আর নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত। তারা এই নদীটার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। উজান হতে বয়ে আসা পাথর আর কয়লা সংগ্রহ করে অনেকেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু ভেবে খারাপ লাগলো এই নদী আর নদী পাড়ের মানুষগুলোর ভবিষ্যত সম্ভবত হুমকির মুখে। কারন কিছুদিন আগে সারী নদীর ইন্ডিয়া অংশে একটা ডেম নির্মান করা হয়েছে। খবরটা যদিও আমি প্রথম বিশ্বাস করিনি কিন্তু পরে গুগল আর্থের সাহয্যে এর সত্যতার প্রমান পেয়েছি। বাংলাদেশ থেকে সামান্য উজানে গেলেই এই নদীতে একটা ডেম এর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ডেমটির নাম লেখা আছে "লেসকা ডেম"। বেশ অবাক হয়েছিলাম। কারন টিপাইমুখে বাঁধ করা নিয়ে অনেকদিন ধরেই লেখালেখি হচ্ছে। আর এখানে ইতিমধ্যেই একটা বাঁধ তৈরি হয়ে আছে অথচ কেউ জানেই না ! অবশ্য ইন্ডিয়ানরা বাংলাদেশকে এই ব্যপারে কিছু জানিয়েছে কিনা তা সরকারই ভাল বলতে পারবে। ইন্ডিয়া এখনপর্যন্ত সতর্কতার সাথে পানি ব্যবস্থাপনার কাজ করছে বলেই মনে হচ্ছে। কারন এখনও এখানে খুব একটা বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেনি। কিন্তু কতদিন তারা এই সতর্কতা জারি রাখবে সেটা বলটা মুশকিল।
যাইহোক, লালাখাল পৌছাতে ৪৫ মি: এর মত লাগলো। নামটা লালাখাল হলেও মজার ব্যপার হলো এখানে আসলে কোন খাল নেই । এটা 'চারিকাটা' ইউনিয়নের অন্তর্গত একটা সিমান্তবর্তী এলাকা। এর পাশ ঘেসেই সারী নদী ইন্ডিয়া হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এখানকার মানুষজনকে দেখলে বুঝা যায় এটা একটু বিচ্ছিন্ন জনপদ। সুন্দর একটা চা বাগান রয়েছে। আর সেটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটা স্কূল, ছোট একটা হাসপাতাল আর বাজার। আমরা যখন যাই তখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। এখানেও নির্বাচনের উত্তাপ বেশ ভালই মনে হলো । আমরা ওদিকে না গিয়ে সংলগ্ন চা বাগানে ঢুকে পড়লাম। এখানটায় বেশ নিরীবিলী। একপাশে বাগান আর অন্যপাশে সরু একটা ছড়া প্রবাহিত হচ্ছে। হাটতে হাটতে অনেকটা দুর চলে গেলাম। ইতিমধ্যে বিকেল হয়ে আসছে। চা বাগানের শ্রমিকরা সব দল বেধে কাজ থেকে ফিরে আসছে। আমরাও তাই ফিরতি পথ ধরলাম। ফেরার সময় ঢুকলাম চা ফেক্টরিতে। কাছ থেকে দেখা হলো কিভাবে ধাপে ধাপে চা তৈরি হয়। পদ্ধতিটা খুব একটা জটিল মনে হলো না। ছোট ফেক্টরি টাতেই দেখলাম চা বানানো হচ্ছে।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে প্রায়। আমরা লালাখাল ঘাটে এসে জড়ো হোলাম। নৌকায় উঠতে হবে আবার। শেষ বারের মত ভালভাবে তাকালাম চারদিকে। সবুজ পাহাড়ের সারি আর এর ভাঁজ ধরে একেবেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া নদীটিকে সন্ধ্যার অল্প আলোতে অপূর্ব দেখাচ্ছিল। ক্যামেরা টা সেট করে নিয়ে দিনের শেষ ছবিটি তুলে ফেললাম (নিচের ছবিটা)।
তারপর নৌকায় চড়ে বোসলাম। মনের মধ্যে একটা আক্ষেপ কাজ করছিল তখনও। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আবার আসতে হবে। আপাতত বিদায় লালাখাল ।।
ছবিসহ বিস্তারিত ক্লিক
লালাখাল যাওয়ার রাস্তাটা পরিষ্কার জানা ছিলনা। তাই প্রথমবার জায়গাটা চেনার পর একটু বোকা বনে গিয়েছিলাম। লালাখাল যেতে হলে জাফলং যাওয়ার পথে সারীঘাট নামে একটা জায়গা আছে সেখানে নামতে হয়। আমি সারীঘাট হয়ে অসংখ্য বার জাফলং গিয়েছি। অথচ কখনও এখানে নামা হয়নি! এটা ভেবেই একটু বোকাবোকা লাগছিল যাই হোক, লালাখাল সারীঘাট থেকে আরো অনেকটা ভিতরে। অনেকগুলো ইন্জিন চালিত নৌকা বাধা আছে দেখলাম ঘাটে । বুঝলাম এভাবেই যেতে হবে। একজন গেলাম মাঝিদের সাথে কথা বলার জন্য। আসা আর যাওয়া মিলে ১৪০০ টাকা দাম হাঁকালো বেটারা! বুঝলাম ঠকানোর মতলব । শেষপর্যন্ত অবশ্য ১০০০ টাকায় রফা হলো। সবাই বেশ হইচই করে নৌকায় উঠে পড়লো। শুরু হলো লালাখাল এর উদ্দেশ্যে যাত্রা ।
নৌকা চলতে শুরু করার পর প্রথম যে জিনিসটা দৃষ্টি আকর্ষণ করলো সেটা হলো সারী নদীর পানি। খুব সুন্দর মিষ্টি একটা সবুজ বর্ণ। খুব অবাক লাগলো। বাংলাদেশে কোন নদীতে এই বর্ণের পানি দেখিনি। এটা নিশ্চিত ছিলাম রঙটা আকাশের রিফ্লেকশন থেকে আসেনি। তাহলে নীল হতো। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেও কোন সদুত্তর পেলাম না। এখনও জানিনা কারনটা ।
আমরা এগিয়ে চললাম। মে মাস। বেশ গরম পড়ছে। তার উপর নৌকার ভিতরে বেশ হাসফাস লাগছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ছাদে উঠে বোসলাম। ফুরফুরে বাতাসে একটু স্বস্তি লাগলো। আর এখান থেকে ছবি তুলতেও সুবিধা ।
এই সময়টাতে সারী নদীতে মোটামুটি পানি আছে। হিমালয় হতে বয়ে আসা পানি। সচ্ছ টলটলে আর একটু ঠান্ডা। হাত দিলে শান্তির একটা পরশ অনুভব হয়। বেশ ভাল লাগে। নদীর দুই পাশে উচু উচু টিলা আর সাজানো সুন্দর চা বাগান। স্থানিয়রা নদীতে গোসল আর নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত। তারা এই নদীটার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। উজান হতে বয়ে আসা পাথর আর কয়লা সংগ্রহ করে অনেকেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু ভেবে খারাপ লাগলো এই নদী আর নদী পাড়ের মানুষগুলোর ভবিষ্যত সম্ভবত হুমকির মুখে। কারন কিছুদিন আগে সারী নদীর ইন্ডিয়া অংশে একটা ডেম নির্মান করা হয়েছে। খবরটা যদিও আমি প্রথম বিশ্বাস করিনি কিন্তু পরে গুগল আর্থের সাহয্যে এর সত্যতার প্রমান পেয়েছি। বাংলাদেশ থেকে সামান্য উজানে গেলেই এই নদীতে একটা ডেম এর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ডেমটির নাম লেখা আছে "লেসকা ডেম"। বেশ অবাক হয়েছিলাম। কারন টিপাইমুখে বাঁধ করা নিয়ে অনেকদিন ধরেই লেখালেখি হচ্ছে। আর এখানে ইতিমধ্যেই একটা বাঁধ তৈরি হয়ে আছে অথচ কেউ জানেই না ! অবশ্য ইন্ডিয়ানরা বাংলাদেশকে এই ব্যপারে কিছু জানিয়েছে কিনা তা সরকারই ভাল বলতে পারবে। ইন্ডিয়া এখনপর্যন্ত সতর্কতার সাথে পানি ব্যবস্থাপনার কাজ করছে বলেই মনে হচ্ছে। কারন এখনও এখানে খুব একটা বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেনি। কিন্তু কতদিন তারা এই সতর্কতা জারি রাখবে সেটা বলটা মুশকিল।
যাইহোক, লালাখাল পৌছাতে ৪৫ মি: এর মত লাগলো। নামটা লালাখাল হলেও মজার ব্যপার হলো এখানে আসলে কোন খাল নেই । এটা 'চারিকাটা' ইউনিয়নের অন্তর্গত একটা সিমান্তবর্তী এলাকা। এর পাশ ঘেসেই সারী নদী ইন্ডিয়া হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এখানকার মানুষজনকে দেখলে বুঝা যায় এটা একটু বিচ্ছিন্ন জনপদ। সুন্দর একটা চা বাগান রয়েছে। আর সেটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটা স্কূল, ছোট একটা হাসপাতাল আর বাজার। আমরা যখন যাই তখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। এখানেও নির্বাচনের উত্তাপ বেশ ভালই মনে হলো । আমরা ওদিকে না গিয়ে সংলগ্ন চা বাগানে ঢুকে পড়লাম। এখানটায় বেশ নিরীবিলী। একপাশে বাগান আর অন্যপাশে সরু একটা ছড়া প্রবাহিত হচ্ছে। হাটতে হাটতে অনেকটা দুর চলে গেলাম। ইতিমধ্যে বিকেল হয়ে আসছে। চা বাগানের শ্রমিকরা সব দল বেধে কাজ থেকে ফিরে আসছে। আমরাও তাই ফিরতি পথ ধরলাম। ফেরার সময় ঢুকলাম চা ফেক্টরিতে। কাছ থেকে দেখা হলো কিভাবে ধাপে ধাপে চা তৈরি হয়। পদ্ধতিটা খুব একটা জটিল মনে হলো না। ছোট ফেক্টরি টাতেই দেখলাম চা বানানো হচ্ছে।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে প্রায়। আমরা লালাখাল ঘাটে এসে জড়ো হোলাম। নৌকায় উঠতে হবে আবার। শেষ বারের মত ভালভাবে তাকালাম চারদিকে। সবুজ পাহাড়ের সারি আর এর ভাঁজ ধরে একেবেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া নদীটিকে সন্ধ্যার অল্প আলোতে অপূর্ব দেখাচ্ছিল। ক্যামেরা টা সেট করে নিয়ে দিনের শেষ ছবিটি তুলে ফেললাম (নিচের ছবিটা)।
তারপর নৌকায় চড়ে বোসলাম। মনের মধ্যে একটা আক্ষেপ কাজ করছিল তখনও। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আবার আসতে হবে। আপাতত বিদায় লালাখাল ।।
ছবিসহ বিস্তারিত ক্লিক